একসঙ্গে করোনা মহামারী, ঝড়, বন্যা, উত্তরাখণ্ডে দাবানল। তার সাথে রাজস্থানের পর দিল্লির দিকে আসা পঙ্গপালের আক্রমনে শস্য হানি! এই সব বিষয় মাথায় রেখে বেশকিছু ফেসবুকার বেশ প্রাসঙ্গিক ভাবে খনার বচন উদ্ধৃত করেছেন দেখলাম :
"দাবানল শস্যহানি, ঝড়, মহামারী
একত্রে ঘটিলে জেনো রাজা দুরাচারী
রাজা যদি পাপমতি প্রবঞ্চক হয়
রাজপাপে দেশময় বহে মৃত্যুভয়।
অধর্ম কুকর্ম যদি কভু রাজা করে
দেখিবে অন্নাভাবে প্রজাগণ মরে
বৈশাখে অকাল বন্যা, আষাঢ়েতে খরা
নিশ্চয় বুঝিবে রাজা ভন্ড, ইষ্টহারা।"
যাঁরা যুক্তিবাদী তারা বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ। কিন্তু যারা বিশ্বাসী এবং বিশেষ করে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভক্ত তারা বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। (বিপদে পড়েছেন এ কথা বলছি না। কারণ এরা বিপদকে থোড়াই কেয়ার করে) কারণ এরা বিশ্বাস করেন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। (আমি যদিও বলি 'যুক্তিতে মেলায় মুক্তি বিশ্বাসে বহুদূর') প্রাচীন ভারতীয় মুনি ঋষিদের পর্যবেক্ষণ এদের কাছে ধ্রুব সত্য বলে মনে হয়। শুধু তাই নয়, তাতে বিশ্বাস হারানোকে পাপ বলেও মনে করেন তারা। তাই খনার বচন-এর সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির কাকতালীয় মিল দেখে পড়েছেন মহা মুশকিলে। বুঝে উঠতে পারছেন না, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে খনার বচনের সত্যতা স্বীকার করবেন? কারণ খনার বচন এর সত্যতা স্বীকার করলেই বর্তমান সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতে হচ্ছে। কিন্তু তাও তারা পাচ্ছেন না। কেননা, তারা তো মোদীর ভক্ত!
এই পরিস্থিতিতে ভক্তগণ সাফাই দিচ্ছেন এইভাবে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রাজার দোষধরা ঠিক নয়। তাদের মতে, এক্ষেত্রে রাজার কিছু করার থাকেনা । এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাজার পাশে থাকা দরকার। পরোক্ষে যেটা বলতে চাইছেন, তা হল, তাতে যদি কিছু গরীব খেটে খাওয়া মানুষ মারা যায়, কিইবা করার থাকে সরকারের।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ভক্তদের এই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য? কেন এক্ষেত্রে রাজার দোষ দেওয়া হবে না? রাজার কি কোন দায়িত্ব নেই? সুসময়ে তিনি বন্ধু সাজবেন, বড় বড় আশ্বাসবাণী দিয়ে ভোট নেবেন। গরীব মানুষের কাছ থেকেও পরোক্ষ টেক্স নেবেন। সেটা কিসের জন্য? এক বান্ডিল বিড়ি কিনতে গেলেও সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় এই সব গরিব মানুষকে। কেন দিতে হয় জানেন না ভক্তরা? হ্যা, দিতে হয়, দিতে বাধ্য করা হয়। কারণ, অসময়ে রাজা তাদের সুরক্ষা দেবে এই শর্তে।
হ্যাঁ, জীবনভর মানুষ রাজাকে মেনে চলে। তাকে ট্যাক্স দেয়। তার আইনকে মান্যতা দেয়। কারণ বিনিময় অসময়ে রাজা তার পাশে থাকবে। এটাই রাজার সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি।
কিন্তু আজকে রাজা হাত গুটিয়ে বসে আছেন। বড়লোকদের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করছেন। এদিকে গরিব মানুষ গুলো না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় অসহায়ের মতো মৃত্যুবরণ করছে। এর দায় রাজার নয়?
ধর্মের বাণী শুনে আর কতদিন জেগে ঘুমাবেন ভক্তরা? একটু চোখ মেলে তাকান। মরার আগে একবার অন্তত বুঝে যান, যে মৃত্যুর দায় রাজারই ছিল।
"দাবানল শস্যহানি, ঝড়, মহামারী
একত্রে ঘটিলে জেনো রাজা দুরাচারী
রাজা যদি পাপমতি প্রবঞ্চক হয়
রাজপাপে দেশময় বহে মৃত্যুভয়।
অধর্ম কুকর্ম যদি কভু রাজা করে
দেখিবে অন্নাভাবে প্রজাগণ মরে
বৈশাখে অকাল বন্যা, আষাঢ়েতে খরা
নিশ্চয় বুঝিবে রাজা ভন্ড, ইষ্টহারা।"
যাঁরা যুক্তিবাদী তারা বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ। কিন্তু যারা বিশ্বাসী এবং বিশেষ করে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভক্ত তারা বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। (বিপদে পড়েছেন এ কথা বলছি না। কারণ এরা বিপদকে থোড়াই কেয়ার করে) কারণ এরা বিশ্বাস করেন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। (আমি যদিও বলি 'যুক্তিতে মেলায় মুক্তি বিশ্বাসে বহুদূর') প্রাচীন ভারতীয় মুনি ঋষিদের পর্যবেক্ষণ এদের কাছে ধ্রুব সত্য বলে মনে হয়। শুধু তাই নয়, তাতে বিশ্বাস হারানোকে পাপ বলেও মনে করেন তারা। তাই খনার বচন-এর সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির কাকতালীয় মিল দেখে পড়েছেন মহা মুশকিলে। বুঝে উঠতে পারছেন না, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে খনার বচনের সত্যতা স্বীকার করবেন? কারণ খনার বচন এর সত্যতা স্বীকার করলেই বর্তমান সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতে হচ্ছে। কিন্তু তাও তারা পাচ্ছেন না। কেননা, তারা তো মোদীর ভক্ত!
এই পরিস্থিতিতে ভক্তগণ সাফাই দিচ্ছেন এইভাবে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রাজার দোষধরা ঠিক নয়। তাদের মতে, এক্ষেত্রে রাজার কিছু করার থাকেনা । এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাজার পাশে থাকা দরকার। পরোক্ষে যেটা বলতে চাইছেন, তা হল, তাতে যদি কিছু গরীব খেটে খাওয়া মানুষ মারা যায়, কিইবা করার থাকে সরকারের।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ভক্তদের এই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য? কেন এক্ষেত্রে রাজার দোষ দেওয়া হবে না? রাজার কি কোন দায়িত্ব নেই? সুসময়ে তিনি বন্ধু সাজবেন, বড় বড় আশ্বাসবাণী দিয়ে ভোট নেবেন। গরীব মানুষের কাছ থেকেও পরোক্ষ টেক্স নেবেন। সেটা কিসের জন্য? এক বান্ডিল বিড়ি কিনতে গেলেও সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় এই সব গরিব মানুষকে। কেন দিতে হয় জানেন না ভক্তরা? হ্যা, দিতে হয়, দিতে বাধ্য করা হয়। কারণ, অসময়ে রাজা তাদের সুরক্ষা দেবে এই শর্তে।
হ্যাঁ, জীবনভর মানুষ রাজাকে মেনে চলে। তাকে ট্যাক্স দেয়। তার আইনকে মান্যতা দেয়। কারণ বিনিময় অসময়ে রাজা তার পাশে থাকবে। এটাই রাজার সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি।
কিন্তু আজকে রাজা হাত গুটিয়ে বসে আছেন। বড়লোকদের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করছেন। এদিকে গরিব মানুষ গুলো না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় অসহায়ের মতো মৃত্যুবরণ করছে। এর দায় রাজার নয়?
ধর্মের বাণী শুনে আর কতদিন জেগে ঘুমাবেন ভক্তরা? একটু চোখ মেলে তাকান। মরার আগে একবার অন্তত বুঝে যান, যে মৃত্যুর দায় রাজারই ছিল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন