নব্বইয়ের দশকে বিজেপির একটি বহু চর্চিত স্লোগান ছিল ‘অযোধ্য তো ঝাঁকি হ্যায়, কাশি মথুরা বাকি হ্যায়’। স্লোগানটি আবার চর্চায় আসে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর। এই রায়ে বিতর্কিত জমিতে মন্দির বানানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে উল্টো (বলা ভালো, সময়োপযোগী) পথে হাঁটছে পাকিস্তান। সম্প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মস্থান ও ধর্মীয় ভাবাবেগকে সম্মান জানিয়ে সেখানকার সুপ্রিম কোর্ট সেদেশে মন্দির ভাঙার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছে। এবং মন্দির পুনর্নির্মাণের আদেশ দিয়েছে। সরকার সেই আদেশকে সমর্থন জানিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসতেই বিজেপির সমর্থক ও আইটি সেল উঠেপড়ে লেগেছে এই রায়কে সুকৌশলে তাদের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণের কাজে লাগাতে। তাদের যুক্তি হল, অখন্ড ভারতবর্ষে, এই রায় অনুযায়ীই পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ, বাইরের দেশের জঙ্গিরা এসে এদেশের রাজা বা সম্রাটদের হঠিয়ে নিজেরা সম্রাট সেজে বসেছিল। আর এদেশের হিন্দু মন্দিরগুলো ধ্বংস করে ইসলাম ধর্মের উপাসনালয় বানিয়েছিল। তাই পাকিস্তানী আদালতের এই রায় মেনে আবার অখন্ড ভারতের সর্বত্র, যেখানে যত হিন্দু মন্দির ধ্বংস হয়েছে, সকল মন্দিরের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হোক। তাদের সিদ্ধান্ত, পাকিস্তান আদালতের এই রায় সাধুবাদ প্রাপ্য, এবং তা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়েরই (রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি সংক্রান্ত) অনুসারী।
এখন প্রশ্ন হলো এই মতামত কতটা যুক্তিবিজ্ঞান এবং ইতিহাস সম্মতও? আসুন যুক্তির কষ্টিপাথরে ফেলে ইতিহাসের তথ্যের আলোকে একটু কাটা-ছেঁড়া করা যাক।
হিন্দু পুরাণ মতে, ব্রহ্মা হলো বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড এবং মানুষের সৃষ্টিকর্তা। এই তথ্য মানলে সারা পৃথিবীর মানুষ এক ব্রহ্মার থেকেই জন্ম নিয়েছে। আর ব্রহ্মা হচ্ছেন একজন ভারতীয় দেবতা। তাহলে বিষয়টা দাঁড়ালো, শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বই অখন্ড ভারত। তবে কি সবদেশের অন্য সব ধর্মের উপাসকরা হিন্দু ধর্মের মন্দির ধংস করে তাদের উপাসনালয় বানিয়েছে? বিজেপি প্রচারকদের অখণ্ড ভারতের যুক্তি মানলে শুধু পাকিস্তান নয়, সমগ্র বিশ্বের উপাসনালয়গুলি ভেঙে মন্দির বানানো উচিত। এই চেষ্টা কী আকাশ-কুসুম কল্পনামাত্র নয়?
তাদের অভিযোগ, বাইরের দেশের জঙ্গিরা এদেশের শাসকদের হটিয়ে সম্রাট হয়ে এদেশের মন্দির ভেঙেছে। প্রশ্ন হলো, এই 'জঙ্গি' শব্দটার জন্ম কবে হয়েছে? ইতিহাস বলছে, এই শব্দটি জাতিরাষ্ট্রের ধারণা জন্ম নেওয়ার আগে ছিলই না। আবার গণতন্ত্র নামক রাষ্ট্র-ব্যবস্থা জন্ম হওয়ার আগেও এর অস্তিত্ব থাকার প্রশ্ন ওঠে না। কারণ, গণতন্ত্র নামক রাষ্ট্রীয় মানদণ্ডের ঠিক বিপরীত মেরু হলো এর গর্ভগৃহ। গণতন্ত্রই যে সময় জন্মায় নি, তখন এই বিপরীত মেরুর ‘জঙ্গি’র (শব্দটির) জন্ম হয় কীভাবে? সুতরাং জঙ্গি নয়, এটা আইটি সেলের মন গড়া একটি শব্দমাত্র, মানুষ ক্ষেপাতে যা দারুণ কার্যকরী। তাই জেনে বুঝেই এই অযৌক্তিক শব্দটি এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতিতে, যে অর্থে জঙ্গি শব্দটি ব্যবহার করা হয়, সেই দিক থেকে বিচার করলেও এর জন্ম আধুনিক যুগে। তাহলে মানতে হবে, এদেশের আক্রমনকারীরা জঙ্গি নয়, ভাগ্যান্বেষী রাজনীতিকমাত্র। কারণ, সময়টা ছিল মধ্যযুগ। জঙ্গি শব্দের জন্মই হয় নি তখন। এবং গণতন্ত্র নয়, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ধ্বংসের মাধ্যমেই ক্ষমতার হাত বদল ছিল তখন বৈধ রীতি। এই কারণে কখনও মন্দির, আবার কখনও মসজিদ কিংবা গির্জা রাজনৈতিক ভাগ্যান্বেষীদের হাতে ধ্বংস হয়েছে। এটা শুধু ভারতে ঘটেছে তা নয়। বিশ্বব্যাপী অহরহ ঘটত এই ঘটনা। প্রাচীনকালে ভারতীয় শাসকরাও এই ধরণের অভিযানে লিপ্ত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সেখানকার আদিম অধিবাসীদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ধ্বংসস্তূপের ওপরই ভারতীয় সংস্কৃতির জয়ধ্বজা উড়িয়েছিলেন। যার সাক্ষ্য ইন্দোনেশিয়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এখনও মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। বিজেপির প্রচারকদের দাবি মানলে ওই এলাকার মন্দিরগুলো ভেঙে সেখানকার আদিবাসীদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী ভাঙাগড়ার খেলায় নামতে হবে। বিষয়টি কতটা যুক্তিযুক্ত, এবং বাস্তবসম্মত?
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যার ৮৭.২ শতাংশ মুসলমান ও ১.৭ শতাংশ হিন্দু। অথচ এখানকার টাকায় স্থান পায় গণেশের ছবি। সরকারী বিমান সংস্থার নাম হয়, পুরাণ বর্ণিত পবিত্র পাখি গরুড়ের নামেই। দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মাস্কট তৈরি হয় হনুমানের ছবি দিয়ে। ভাঙাভাঙি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠের সংস্কৃতি হয়, কী হবে ইন্দোনেশিয়ার এই সমন্বয়ী সংস্কৃতির?
আজ আধুনিক যুগ, গণতন্ত্রের যুগ। এই যুগে মধ্যযুগীয় রীতিনীতি চলে না। চলে না বলেই পাকিস্থানের বর্তমান সুপ্রিমকোর্ট ওই রায় দিয়েছে। এবং ইন্দোনেশিয়ায় ভারতীয় রাজাদের কীর্তি এখনও অক্ষত রয়েছে। তাই গণতন্ত্রের কথা যারা বলবে, তাদেরও এই রীতি মানার বাধ্যবাধকতা থাকবে। না হলে আধুনিকতা ও গণতন্ত্রের কথা তাদের মুখে হাস্যকর শোনাবে।
যে সময় বাইরের দেশ থেকে মুসলিম শাসকরা এদেশে এসেছিল, সেটা ছিল মধ্যযুগ। যদিও প্রাচীন যুগেও বহু বিদেশি এদেশে এসেছিল এবং রাজত্ব কায়েম করেছিল। এদেশ শাসনের সাথে সাথে তারা নিজেদের উপাসকদের উপাসনাও চালু করেছিল। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হল আর্য জাতি। তারা এদেশের আদিম অধিবাসীদের ধর্ম-সংস্কৃতিকে প্রায় ধংস করে নিজেদের ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রচার করেছিল। এই আর্য জাতির ধর্ম হল বৈদিক ধর্ম। বৈদিক ধর্মই আজ সনাতন ধর্ম নামে পরিচিত। তাকেই হিন্দুত্ববাদীরা বলেন হিন্দু ধর্ম। আদতে হিন্দু শব্দটাই ভারতীয় নয়। হিন্দু ধর্ম বলেও যে কিছু হয় না, তা হয় তো এরা জানেন না। ইতিহাস বলছে, এই সনাতন ধর্মের মানুষরাও আসলে বিদেশি। কীভাবে?
এখনও পর্যন্ত নৃবিজ্ঞানী এবং ইতিহাসবিদরা যা জানাচ্ছেন, তাতে মানব জাতির আদিমতম পূর্বপুরুষের বসবাস ছিল আফ্রিকায়। ভুগোলবিদদের মতে, ভারত এই আফ্রিকার সঙ্গেই যুক্ত ছিল সভ্যতার আদিলগ্নে। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ভারতীয় ভুখন্ড আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। তাই আফ্রিকার মানুষের নৃতাত্বিক গঠনে অর্থাৎ ভারতের আদিবাসীদের গায়ের রঙ ও গড়নে রয়েছে (জিনগত) প্রচুর মিল। এদের সাথে সনাতন ধর্মের ধারক ও বাহকদের সেই মিল প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ, এরা আফ্রিকা থেকে ইউরোপ হয়ে বহুযুগ ধরে বহু বিবর্তনের (আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে এই বিবর্তন হয়) পরে ভারতে প্রবেশ করে। এবং এরাই ভারতের আদিম অধিবাসীদের (আফ্রিকার সঙ্গে যাদের আবহাওয়া ও জলবাহুগত বিশেষ পার্থক্য না থাকায় তাদের তেমন বিবর্তন হয় নি) হঠিয়ে এদেশে দখলদারিত্ব কায়ের করে। তাহলে কী দড়লো? এদেশের আদিবাসীরাই হলো মুলনিবাসী। আর্যরা ইউরোপ ঘুরে আসা একটি বিবর্তিত জনজাতি, যারা সিন্ধু সভ্যতার শাসকদের যুদ্ধে হারিয়ে, তাদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে ধ্বংস করে এদেশের দখল নিয়েছিল।
মজার ব্যাপার হল এদেরই অপর একটি গোষ্ঠী মধ্যযুগে মধ্যপ্রাচ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ভারতে প্রবেশ করে সেখানে রাজনৈতিক অধিকার কায়েম করে। তাহলে পার্থক্য কোথায়? সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রাচীন যুগে এদেশে ঢুকে এদেশের আদিম অধিবাসীদের হটিয়ে নিজেদের ধর্ম ও সংস্কৃতির চাষ শুরু করেছিল অস্ত্রের বলে। আর ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা মধ্যযুগে ভারতে এসে তাদের পূর্বপুরুষদের উত্তরসূরিকে হটিয়ে ভারত দখল করেছিল।
কী দাঁড়ালো? মধ্যযুগে ভারতে আসা ইসলাম ধর্মাবলম্বী শাসকরা যে অর্থে বিদেশি, সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও সেই একই অর্থে বিদেশি। পার্থক্য হল কেউ আগে এসেছে, কেউ পরে। আসলে ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের (এক প্রজন্মের সঙ্গে অন্য প্রজন্মের) ক্ষমতা দখলের লড়াই ছাড়া এটা অন্য কিছুই নয়। শুধুমাত্র ধর্মটা তারা পরিবর্তন করে নিয়েছে সময়, সুবিধা, প্রয়োজনমত।
তাহলে কাদের কী ভাঙ্গা হবে এবং কোন যুক্তিতে ভাঙ্গা হবে? যুক্তিবাদের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যুগে সে প্রশ্ন উঠবেই। পাকিস্থানের বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট এই যুক্তিবাদ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মান্যতা দিয়েছে মাত্র। আর তার অনেক আগেই ভারতীয় রাজনীতিকরা এই সত্য ও তথ্যকে মান্যতা দিয়ে ভারতীয় সংবিধান তৈরি করে আমাদেরকে ভারতীয় হিসাবে গর্বিত করে গেছে। আজ আমরা যদি সেই মান্যতাকে ভাঙি, তা ভারতীয় হিসাবে কী লজ্জাজনক হবে না?
আইটি সেলের ভাবনাকে মান্যতা দিতে হলে তো মসজিদগুলোর সাথে সাথে মন্দিরগুলোও ভেঙে দিয়ে এদেশের আদিম অধিবাসীদের (আদিবাসীদের) প্রকৃতি পূজার জন্য যে ব্যবস্থা ছিল, যা তারা আজও বজায় রেখেছে, কায়েম করা উচিত। এদেশ তো আদতে তাদেরই। শুধু ঐতিহাসিক ভাবে নয়, অজয় রোয়ুরুর জিনতত্বের গবেষণাসহ নৃতাত্বিকদের গবেষণাও এই দাবির মান্যতা দিচ্ছে। মানবেন?
আসলে, বিদেশি তকমা দিয়ে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বী শাসকদের অভিযুক্ত করার মধ্যে কোনো যুক্তি ও ইতিহাস সম্মত তথ্য নেই। সবই হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকদের মনগড়া কাহিনীমাত্র।
আসুন আর একটা দিক থেকে বিচার করে দেখি। আর্যরা বা পরবর্তীকালে মুসলিমরা যখন ভারতে এসেছে তখন ছিল যথাক্রমে প্রাচীন ও মধ্যযুগ। সেসময় অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করাই ছিল রাজকীয় নীতি এবং সেটাই ছিল সেযুগে বৈধ। শুধু মুসলিম শাসকরা মন্দির ভেঙেছে তা নয়, হিন্দু রাজারাও এসময় ক্ষমতা দখলের প্রয়োজনে মন্দির কিম্বা বৌদ্ধ বিহার ভেঙেছে। আবার মুসলিম শাসকরাও প্রয়োজনে শুধু মন্দির নয়, মসজিদও ভেঙেছে। মুসলিম শাসকরা মন্দির তৈরির জন্য জমি ও অর্থ প্রদান করেছে এমন দলিলও মহাফেজ খানায় এখনও বর্তমান। যদিও সে খবর আইটি সেল ইচ্ছাকৃতভাবেই চেপে যান, রাজনীতি করার স্বার্থে।
কিন্তু আজ গণতন্ত্রের যুগ। অস্ত্র নয়, ব্যালটই ক্ষমতা দখলের বৈধ হাতিয়ার। মানুষের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতার স্বীকৃতিই এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ। মধ্যযুগের রীতিনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা এখন কায়েম করলে তো আমাদের মধ্যযুগে ফিরে যেতে হয়। তাহলে আর গণতন্ত্রের কথা বলবো কীভাবে?
এবারে ভাবুন। মুসলিম শাসকরা এদেশে এলো। ক্ষমতা দখল করলো। আট’শ বছরের মত বিরাট সময় ধরে রাজত্ব করলো। সবই বাস্তব সত্য। এটা যদি বাস্তব সত্য হয় এবং মুসলিম শাসকরা যদি হিন্দু বিদ্বেষী হত, আর মন্দির ভেঙে যদি মসজিদ গড়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য হত, তবে আজও সারা ভারতে কীভাবে হাজার হাজার প্রাচীন মন্দির ও মধ্যযুগীয় মন্দির রয়ে গেল? উত্তর রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ৮৭.২ শতাংশ মুসলমান ও ১.৭ শতাংশ হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষ নিয়েও প্রাচীন সনাতন ধর্মের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার সাংস্কৃতিক তাগিদের মধ্যেই। আমাদের দেশেরও এই ঐতিহ্য ছিল। সেই ঐতিহ্য আজ বিপন্ন হতে বসেছে, একটি রাজনৈতিক দলের ভুল এবং সংকীর্ণ রাজনৈতিক মতাদর্শের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে।
তাই অখণ্ড ভারতের অলীক কল্পনায় না ভেসে, ধর্মীয় বিদ্বেষ দূরে রেখে বাস্তবসম্মত ও ধর্মনিরপেক্ষ অখণ্ড ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবনাকে শক্তিশালী করতে হবে। রাজনীতিকদের দাবার বড়ে হিসেবে নয়, প্রত্যেক ভারতবাসীর নিজেকে রাজনীতির সত্যিকারের কিংমেকার ভাবতে হবে। তবেই গণতন্ত্রের ফসল জনগণের হাতে পৌঁছবে। না হলে 'হোঁচার মাছ বগায় খেয়ে' যাবে, আর ধর্মের মায়াজাল নামক খাঁচায় বন্ধী হয়ে হিংস্র সিংহের মত গর্জাতে গর্জাতে, স্বজাতিকে আঁচড়ে খামচে শক্তিক্ষয় করতে হবে। সেই ফাঁকে লাভের গুড় খেয়ে যাবে চিড়িয়াখানার মালিকরূপী রাজনৈতিক নেতা ও তাদের প্রভু কর্পোরেট পুঁজির কারবারিরা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন