সাম্প্রদায়িকতার উৎস সন্ধান ও আমাদের কর্তব্য
কোন মন্তব্য দিয়ে কী বোঝাতে চাইছো বোঝা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
তোমার আলোচনার বিষয় কী? ভিন্ন ভিন্ন বিষয় এক সঙ্গে বললে বোঝা মুশকিল হযে যায় তুমি কী জানতে চাইছো। ফেসবুকের লিংক দিয়ে মন্তব্য করলেও ঠিকঠাক বোঝা যায় না যে তুমি কী বোঝতে বা জানতে চাইছো
যখন যা জানতে চাইবে তার বিস্তারিত করে বিবরণ দিয়ে পরিষ্কার ভাবে এবং সোজাসুজি প্রশ্ন করবে।
কবির সুমন, বামপন্থী, বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ী একসঙ্গে ঘেঁটে যাচ্ছে। আলাদা আলাদা ভাবে এবং পরিষ্কার করে মতামত জানাও
দুই দেশেই ধর্ম ব্যবসায়ী আছে। উপমহাদেশের প্রত্যেক দেশে তারা সক্রিয়। তুমি জানো কিনা জানিনা, এদেশের হিন্দু সাম্প্রদায়িক এবং ওদেশের মুসলিম সাম্প্রদায়িকদের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া আছে।
এরা পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। ভারতের সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির দ্বারা ঘটানো দৃষ্টান্ত দিয়ে এখানে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা করে। আর ঠিক একই রকম ভাবে ভারতের সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোকেই সামনে রেখেই বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ীরা ও সাম্প্রদায়িক শক্তি রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য অশিক্ষিত জনগণকে ভারতের সাম্প্রদায়িকদের বিরুদ্ধে খেপায়।
এদেরই নিযুক্ত চেলারা পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আজেবাজে মন্তব্য করে। মূল উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানো। এখানে বাধলে ওখানে বাঁধাতে সুবিধা হয়। আর ওখানে বাধলে এখানের বাঁধাতে সুবিধা হয়।
এইবভাবে দুই দেশের মৌলবাদীরা নিজের নিজের দেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে পরস্পর পরস্পরেরকে সাহায্য করছে।
এব্যাপারে দুই দেশের সংখ্যাসগুরু সাম্প্রদায়িক শক্তির মধ্যে বোঝাপড়া আছে। এদের মধ্যে গোপন মিটিং পর্যন্ত হয়।
সুতরাং সমস্যা খুবই জটিল। তাই এদেশের এবং ও দেশের সাপ্রদায়িক শক্তিকে সমান ভাবে সমালোচনা করে তাদেরকে কোণঠাসা করতে হবে। না হলে হিন্দু- মুসলিম নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।
এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায়ই একমাত্র জায়গা যেখানে মূল্য খুললে সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছান যায় এবং মানুষকে সচেতন করে তোলা যায় ধর্ম ও রাজনীতির কারবারীদের বিরুদ্ধে।
কিন্তু তুমি তো সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলো না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন