গান্ধিজী ও হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্র
Shyamali Banerjee জানি কঠিন । সেগুলোই একটু কষ্ট করে পড়ুন। তবেই তো আমরা ভালো থাকবো। আর সেটাই তো আমাদের কাম্য। তাই না?
প্রত্যেক মানুষের কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। গান্ধিরও নিশ্চয়ই ছিলো। কিন্তু তাকে বাদ দিয়ে একজন হিন্দুত্ববাদী স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম বলুন তো, যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখেছিলেন? পারবেন না।
নেতাজি বাঙালির গর্বের জননেতা। তাকে সরানোর জন্য গান্ধিকে দায়ী করা হয়। কথাটা সত্য। কিন্তু তাঁকে নেতাজি বিরোধীতায় কলকাঠি নেড়ে একাজ করতে বাধ্য করেছিলেন কংগ্রেসের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। অমলেশ ত্রিপাঠি, শৈলেশ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের লেখা পড়লেই জানতে পারবেন।
আর গান্ধিজির বিরোধিতা করার জন্য নেতাজিকে কাছে টানতে চাইছেন? এটা এক ধরণের নিচুতা। তিনি দেশের নেতা হলে আপনার সাধের হিন্দু রাষ্ট্র হতো কি? নেতাজিকে যারা ন্যুনতম পড়েছেন, তাঁরা জানেন, তিনি হিন্দু রাষ্ট্রের ঘোর বিরোধী ছিলেন এবং দেশে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন যা হিন্দুত্ববাদীদের ঠিক উল্টো মেরুর বিষয়। নেতাজির সেনাবাহিনীর গঠন কাঠামোর দিকে বিশ্লেষণী দৃষ্টি দিলেই এটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে। আর এটা আপনি না জানলেও আপনার আরাধ্যদের সবাই জানতেন। জানতেন বলেই কৌশলে গান্ধির কাঁধে বন্দুক রেখে নেতাজিকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। গান্ধিজী পরে এই ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারেন। কিন্তু তখন দেরি হয়ে গেছে।
সুতরাং মনগড়া কথা ইতিহাস বলে চালালে চলবে, তবে তা শুনে শুনে ইতিহাস জানা মানুষের কাছে, পড়ে ইতিহাস জানা মানুষের কাছে নয়।
তবে পড়ে ইতিহাস জানা অনেক মানুষ আছেন, যারা জেনে বুঝেই বিকৃত ইতিহাস চর্চা ও প্রচার করেন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। এর সূচনা করেছিলেন ইংরেজরা, আর তা অনুসরণ করছেন আজ তারা, যারা সেদিন ইংরেজদের হয়ে দালালি করেছিলেন।
আসুন আমরা এদের চিহ্নিত করি ও দূরত্ব বজায় রাখি। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। মানুষের পাশে থাকুন। শুভরাত্রি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন