সাথি সম্পাদক,
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই পোস্ট যদি এই গ্রূপের সঙ্গে মানানসই না হয় বলে বিবেচিত হয়। কারণ,
প্রথমত: এখানে কী প্রকাশ পাবে বা পাবে না তা আপনার (সম্পাদকের) অনুমোদন সাপেক্ষ।
দ্বিতীয়ত: আমি নিজেও মনে করি এবং মেনে চলি সাহিত্য পত্রিকা কখনও শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতবাদ প্রচারের নিছক মুখপাত্র হতে পারে না। কিন্তু এই পোস্ট কারও কারও কাছে নিছকই রাজনৈতিক পোস্ট বলে বিবেচিত হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন হল আমি তবে এটি পোস্ট করলাম কেন?
প্রথমত, আমার চিন্তা-চেতনা অনুযায়ী এটা কোন রাজনৈতিক পোস্ট নয়। কারণ, এটা একটা বিতর্কসভার একটি বক্তব্য যা কোনো রাজনৈতিক দলকে করা হয়নি, করা হয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে, যিনি সমগ্র দেশবাসীর প্রধানমন্ত্রী (যিনি বক্তব্য রাখছেন তিনিও কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন, তিনি দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসাবেই এখানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। এবং তা সবার কাছে পরিষ্কার)। তাঁকে (প্রধানমন্ত্রীকে) প্রশ্ন করাটা মানুষের নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এই অধিকার যদি মানুষের না থাকে তবে দেশের গণতন্ত্র প্রহসনের চেহারা নেয়। এই ধরণের আলোচনা কখনই নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য হিসাবে বিবেচিত হয় না।
দ্বিতীয়ত, সাহিত্য সমাজের দর্পন। এটা কোনো বিনোদন সামগ্রী বলে আমি মনে করি না (কারও কাছে সেটা বিনোদন মনে হতেই পারে, সেটাকে অপরাধ বা নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি বলার অধিকার আমার নেই), আর সমাজ কিন্তু রাজনীতি বিমুক্ত নয়। তাই তাতে সমাজের ভালোমন্দ অবশ্যই উঠে আসে। (শরৎচন্দ্রের 'পথের দাবি' রবীন্দ্রনাথের 'গোরা' ইত্যাদি নিশ্চয়ই কোনো রাজনৈতিক দলের ইস্তাহার বলে বিবেচিত হবে না) অর্থাৎ রাজনীতি বিমুক্ত সাহিত্য হতে পারেনা। কারণ, মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র ও মুহূর্ত রাজনীতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
তৃতীয়তঃ বিনয়ের সঙ্গে একটি প্রশ্ন করি। প্রবন্ধকে আপনি কী বলবেন? সাহিত্য তো? এই পোস্টের বক্তার বক্তব্যকে আপনার পত্রিকার জন্য বা কোন পত্রিকায় যদি পাঠানো হয় আপনি বা তিনি তাকে ফেরত পাঠাতে নিশ্চয়ই পারেন। কিন্তু কারণ হিসাবে তাকে প্রবন্ধ নয় বলে কি দেখাতে পারবেন? যদি পারেন, তবে দ্বিতীয় প্রশ্ন, প্রবন্ধ কি সাহিত্যের বিবেচ্য বিষয় নয়?
চতুর্থতঃ এবার প্রশ্ন উঠতে পারে তবে সাহিত্য ও রাজনৈতিক বক্ত্যের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আমার মনে হয় এটা আমরা সবাই মোটামুটি জানি। তাই বিস্তারিত বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি শুধু সেই টুকুই বলবো যেটা আমার কাছে এই গ্রূপের জন্য কৈফিয়ত হিসাবে বলতেই হবে। কারণ, পাঠক প্রশ্ন তুলেছেন। এবং সম্পাদক সেই প্রশ্নে সহমত প্রকাশ করেছেন। সুতরাং পোস্টকারী হিসাবে আমার কৈফিয়ক খুবই প্রাসঙ্গিক।
১) আমার কাছে সাহিত্য হচ্ছে একটি শিল্পকর্ম। যাঁরা এর চর্চা করেন তাঁদের নজর থাকে তাঁর শিল্পকর্ম যেন মানুষকে নতুন পথ দেখায়, উন্নত ও প্রগতিশীল চিন্তা ও চেতনাকে উৎসাহিত করে।
২) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তা মানবতাবাদের পক্ষে সওয়াল করে, যুক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে।
৩) সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে। যেটা রাজনৈতিক দল বা নেতারা করেন না। তারা ক্ষমতার স্বার্থে ঠিক এগুলোর উল্টো কাজই করে থাকেন। এ অভিজ্ঞতা কম বেশি আমাদের সকলের আছে। সুতরাং রাজনৈতিক নেতাদের মোটাদাগের বক্তব্য খবরের কাগজের বিষয় হতে পারে, সাহিত্য পত্রিকার বিষয় নয়।
তাই আমার বিবেচনায়,
১) রাজনৈতিক নেতাদের মোটা দাগের ভাষণ এই পোষ্টটি নয়।
২) এখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিদুদ্ধেই সোচ্চার প্রতিবাদ রয়েছে।
৩) মানবতাবাদের বিরুদ্ধে কাজ করার যে প্রবণতা বাড়ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রয়েছে।
(এর বিরুদ্ধে কথা বলা যদি সাহিত্য বিবেচিত না হয়, আমাদের সাধের সাহিত্য সাধনা বাঁচবে তো? আমার মনে হয় ভাবার সময় হয়েছে।)
৪) সবশেষে, মানুষের মধ্যে ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর কোনো ইন্ধন এই পোস্টটির মধ্যে নেই। এই শর্তটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যা নির্ধারণ করে দেয় লেখাটা নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য বলে বিবেচিত হবে, না আধুনিক সাহিত্য বলে বিবেচ্য হবে।
সুতরাং যদি মানুষের মধ্যে ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর কোনো ইন্ধন এর মধ্যে থাকতো তাহলে তা আপনার প্রতিবাদ এবং প্রতিবাদের ভাষাকে মান্যতা দিত নিশ্চয়। এর পরও যদি আপনার মনে হয় এটি নিছক রাজনৈতিক পোস্ট ছিল, বিনয়ের সঙ্গে বলছি, মানতে পারলাম না সাথি। এ মূর্খ্যকে (আপনার কথায়, চা-চুল্লু ঠেকে বসার মত) ক্ষমা করুন। আর তথ্য ও যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করুন ত্রুটিগুলি। শোনার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন সাথি সম্পাদক, লেখক, এবং সম্মানীয় পাঠক।
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই পোস্ট যদি এই গ্রূপের সঙ্গে মানানসই না হয় বলে বিবেচিত হয়। কারণ,
প্রথমত: এখানে কী প্রকাশ পাবে বা পাবে না তা আপনার (সম্পাদকের) অনুমোদন সাপেক্ষ।
দ্বিতীয়ত: আমি নিজেও মনে করি এবং মেনে চলি সাহিত্য পত্রিকা কখনও শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতবাদ প্রচারের নিছক মুখপাত্র হতে পারে না। কিন্তু এই পোস্ট কারও কারও কাছে নিছকই রাজনৈতিক পোস্ট বলে বিবেচিত হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন হল আমি তবে এটি পোস্ট করলাম কেন?
প্রথমত, আমার চিন্তা-চেতনা অনুযায়ী এটা কোন রাজনৈতিক পোস্ট নয়। কারণ, এটা একটা বিতর্কসভার একটি বক্তব্য যা কোনো রাজনৈতিক দলকে করা হয়নি, করা হয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে, যিনি সমগ্র দেশবাসীর প্রধানমন্ত্রী (যিনি বক্তব্য রাখছেন তিনিও কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন, তিনি দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসাবেই এখানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। এবং তা সবার কাছে পরিষ্কার)। তাঁকে (প্রধানমন্ত্রীকে) প্রশ্ন করাটা মানুষের নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এই অধিকার যদি মানুষের না থাকে তবে দেশের গণতন্ত্র প্রহসনের চেহারা নেয়। এই ধরণের আলোচনা কখনই নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য হিসাবে বিবেচিত হয় না।
দ্বিতীয়ত, সাহিত্য সমাজের দর্পন। এটা কোনো বিনোদন সামগ্রী বলে আমি মনে করি না (কারও কাছে সেটা বিনোদন মনে হতেই পারে, সেটাকে অপরাধ বা নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি বলার অধিকার আমার নেই), আর সমাজ কিন্তু রাজনীতি বিমুক্ত নয়। তাই তাতে সমাজের ভালোমন্দ অবশ্যই উঠে আসে। (শরৎচন্দ্রের 'পথের দাবি' রবীন্দ্রনাথের 'গোরা' ইত্যাদি নিশ্চয়ই কোনো রাজনৈতিক দলের ইস্তাহার বলে বিবেচিত হবে না) অর্থাৎ রাজনীতি বিমুক্ত সাহিত্য হতে পারেনা। কারণ, মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র ও মুহূর্ত রাজনীতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
তৃতীয়তঃ বিনয়ের সঙ্গে একটি প্রশ্ন করি। প্রবন্ধকে আপনি কী বলবেন? সাহিত্য তো? এই পোস্টের বক্তার বক্তব্যকে আপনার পত্রিকার জন্য বা কোন পত্রিকায় যদি পাঠানো হয় আপনি বা তিনি তাকে ফেরত পাঠাতে নিশ্চয়ই পারেন। কিন্তু কারণ হিসাবে তাকে প্রবন্ধ নয় বলে কি দেখাতে পারবেন? যদি পারেন, তবে দ্বিতীয় প্রশ্ন, প্রবন্ধ কি সাহিত্যের বিবেচ্য বিষয় নয়?
চতুর্থতঃ এবার প্রশ্ন উঠতে পারে তবে সাহিত্য ও রাজনৈতিক বক্ত্যের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আমার মনে হয় এটা আমরা সবাই মোটামুটি জানি। তাই বিস্তারিত বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি শুধু সেই টুকুই বলবো যেটা আমার কাছে এই গ্রূপের জন্য কৈফিয়ত হিসাবে বলতেই হবে। কারণ, পাঠক প্রশ্ন তুলেছেন। এবং সম্পাদক সেই প্রশ্নে সহমত প্রকাশ করেছেন। সুতরাং পোস্টকারী হিসাবে আমার কৈফিয়ক খুবই প্রাসঙ্গিক।
১) আমার কাছে সাহিত্য হচ্ছে একটি শিল্পকর্ম। যাঁরা এর চর্চা করেন তাঁদের নজর থাকে তাঁর শিল্পকর্ম যেন মানুষকে নতুন পথ দেখায়, উন্নত ও প্রগতিশীল চিন্তা ও চেতনাকে উৎসাহিত করে।
২) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তা মানবতাবাদের পক্ষে সওয়াল করে, যুক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে।
৩) সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে। যেটা রাজনৈতিক দল বা নেতারা করেন না। তারা ক্ষমতার স্বার্থে ঠিক এগুলোর উল্টো কাজই করে থাকেন। এ অভিজ্ঞতা কম বেশি আমাদের সকলের আছে। সুতরাং রাজনৈতিক নেতাদের মোটাদাগের বক্তব্য খবরের কাগজের বিষয় হতে পারে, সাহিত্য পত্রিকার বিষয় নয়।
তাই আমার বিবেচনায়,
১) রাজনৈতিক নেতাদের মোটা দাগের ভাষণ এই পোষ্টটি নয়।
২) এখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিদুদ্ধেই সোচ্চার প্রতিবাদ রয়েছে।
৩) মানবতাবাদের বিরুদ্ধে কাজ করার যে প্রবণতা বাড়ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রয়েছে।
(এর বিরুদ্ধে কথা বলা যদি সাহিত্য বিবেচিত না হয়, আমাদের সাধের সাহিত্য সাধনা বাঁচবে তো? আমার মনে হয় ভাবার সময় হয়েছে।)
৪) সবশেষে, মানুষের মধ্যে ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর কোনো ইন্ধন এই পোস্টটির মধ্যে নেই। এই শর্তটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যা নির্ধারণ করে দেয় লেখাটা নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য বলে বিবেচিত হবে, না আধুনিক সাহিত্য বলে বিবেচ্য হবে।
সুতরাং যদি মানুষের মধ্যে ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর কোনো ইন্ধন এর মধ্যে থাকতো তাহলে তা আপনার প্রতিবাদ এবং প্রতিবাদের ভাষাকে মান্যতা দিত নিশ্চয়। এর পরও যদি আপনার মনে হয় এটি নিছক রাজনৈতিক পোস্ট ছিল, বিনয়ের সঙ্গে বলছি, মানতে পারলাম না সাথি। এ মূর্খ্যকে (আপনার কথায়, চা-চুল্লু ঠেকে বসার মত) ক্ষমা করুন। আর তথ্য ও যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করুন ত্রুটিগুলি। শোনার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন সাথি সম্পাদক, লেখক, এবং সম্মানীয় পাঠক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন