সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রসঙ্গ : ফ্রান্স, হযরত মুহাম্মদ-এর কার্টুন ও তার পরবর্তী সংকট

প্রসঙ্গ : ফ্রান্স, হযরত মুহাম্মদ-এর কার্টুন ও তার পরবর্তী সংকট ◾হে মানুষ! জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও মূল্যবান, জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক নর-নারীর জন্য ফরয ( অবশ্যপালনীয় কাজ)। কারণ, জ্ঞান মানুষকে সঠিক পথ দেখায় । ◾'হে মানুষ! তোমরা কখনোই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। কারণ, অতীতে বহু জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।' (হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বিদায় হজ্জের ঐতিহাসিক ভাষণ) এই কথাগুলো পড়ার পর আপনার কি মনে হচ্ছে না, যিনি কার্টুন আঁকলেন, যিনি কার্টুনটিকে ছাত্রদের দেখালেন (বাক স্বাধীনতার ব্যাখ্যা দিতে) আর দেখানোর অপরাধে যিনি ওই শিক্ষককে হত্যা করলেন এই তিনজনই আসলে উন্মাদ? ১) আপনি আপনার ধর্ম, ধর্মগুরু কিংবা ধর্মীয় আচার আচরণ নিয়ে ব্যঙ্গ চিত্র আঁকতে পারেন। এই যে আপনি পারেন, তার কারণ আপনার এক ধরণের বিশ্বাস, যার ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবাদী মানসিকতা। যে যুক্তিবাদী মন  আপনাকে জানাচ্ছে  যে, এটা করলে  আসলে কিছুই হয় না। খেয়াল করে দেখুন এই যুক্তিবাদী মানসিকতার ভিত্তিটাও কিন্তু এক ধরণের বিশ্বাস। কেননা, এই যুক্তি কোনো বস্তুবাদী-কার্যকারণ সম্পর্কের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠেনি। আমরা জানি,  যুক

ভারত বিভাজন ও হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা

ভারত বিভাজন ও হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা ভালো-মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে - কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। কিন্তু কথাটার উত্তরাধিকার শুধু বাঙালি নয়, শুধু ভারতীয় নয়, ছড়িয়ে আছে বিশ্বময়। তাই আপনি বা আমি সবাই তারই অংশ। অর্থাৎ আমাদের জন্যও কথাটা স্মরণযোগ্য। সত্যকে মেনে নেয়ার ক্ষমতা সবার থাকে না। অনেক বড় মনের মানুষ হতে হয় তার জন্য। হৃদয়ের ভিতরের আয়তনটাও অনেক বড় হওয়া দরকার। তবেই সেই সত্যকে সহজে নেওয়া যায়। শ্রদ্ধেয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তেমনি একজন বড় হৃদয়ের মানুষ। যে-হৃদয় সত্যকে সহজে গ্রহণ করার শক্তি অর্জন করেছে। আপনার সে শক্তি নেই। সেটা আপনার মন্তব্যে বোঝা গেল। কিন্তু আপনার ক্ষমতার উপরে বা শক্তির উপরেই তো শুধুমাত্র সত্য নির্ভরশীল নয়। তার নিজস্ব একটা শক্তি আছে। সে শক্তিকে আত্মস্থ করার মতো ক্ষমতা সবার হয় না, বলা ভালো থাকেনা। তাকে অর্জন করতে হয়। আপনার বোধ হয় সে সুযোগটুকু হয়ে ওঠেনি। তবে এটাকে আমি আপনার ব্যক্তিগত দোষ বলে মনে করিনা। কারণ, আপনার মনের কোণে যে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস জায়গা করে নিয়েছে তা নিয়ে আপনি জন্মাননি। বিখ্যাত একজন পাশ্চাত্য দার্শনিক বলেছিলেন, জন

সাম্প্রদায়িকতার উৎস সন্ধান ও আমাদের কর্তব্য

সাম্প্রদায়িকতার উৎস সন্ধান ও আমাদের কর্তব্য কোন মন্তব্য দিয়ে কী বোঝাতে চাইছো বোঝা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তোমার আলোচনার বিষয় কী? ভিন্ন ভিন্ন বিষয় এক সঙ্গে বললে বোঝা মুশকিল হযে যায় তুমি কী জানতে চাইছো। ফেসবুকের লিংক দিয়ে মন্তব্য করলেও ঠিকঠাক বোঝা যায় না যে তুমি কী বোঝতে বা জানতে চাইছো যখন যা জানতে চাইবে তার বিস্তারিত করে বিবরণ দিয়ে পরিষ্কার ভাবে এবং সোজাসুজি প্রশ্ন করবে। কবির সুমন, বামপন্থী, বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ী একসঙ্গে ঘেঁটে যাচ্ছে। আলাদা আলাদা ভাবে এবং পরিষ্কার করে মতামত জানাও  দুই দেশেই ধর্ম ব্যবসায়ী আছে। উপমহাদেশের প্রত্যেক দেশে তারা সক্রিয়। তুমি জানো কিনা জানিনা, এদেশের হিন্দু সাম্প্রদায়িক এবং ওদেশের মুসলিম সাম্প্রদায়িকদের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া আছে। এরা পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। ভারতের সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির দ্বারা ঘটানো দৃষ্টান্ত দিয়ে এখানে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা করে। আর ঠিক একই রকম ভাবে ভারতের  সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোকেই সামনে রেখেই বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ীরা  ও সাম্প্রদায়িক শক্তি রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য অশিক্ষিত জনগণকে ভারতের সাম্প্রদায়িকদের বিরুদ

ধর্ষণ এবং প্রতিবাদের ধরণ

ধর্ষণ এবং প্রতিবাদের ধরণ - কিছু কথা ধর্ষণ। জঘন্যতম অপরাধ। তার উপর নৃশংসভাবে খুন, যা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। হাজার শাস্তি দিযেও তাকে আটকানো যাচ্ছে না। ব্যাপক এবং গভীর আর্থ-সামাজিক সংকট এবং তজ্জনিত মানসিক অসুস্থতার মধ্যেই রয়েছে তার অন্তর্নিহিত কারণ। কেন তা আটকানো যাচ্ছে না, আমার আলোচনা এখন তা নিয়ে নয়। আমি দেখছি বাঙালির এক অদ্ভুত মানসিকতা। দেখছি আর অবাক হচ্ছি। ধর্ষণ এবং তারপর নৃশংসভাবে খুন, সে যেখানেই হোক, তা জঘন্যতম অপরাধ। তা নিয়ে হয়তো কবিতা লেখা যায় না। তা নিয়ে রসিকতা কিংবা মশকরা করাও যায় না। আর এসবের কিছু না করলেও কেউ আপনাকে সমালোচনা করবে না। কিন্তু তাই বলে এই অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন না? কিংবা কেউ করলে প্রশ্ন তুলবেন? অন্য কোনো রাজনৈতিক ইস্যু হলে  আড়াআড়িভাবে আমরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাই। ভাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেউ সমালোচনা করলে অন্য পক্ষের উদাহরণ টেনে  আমরা অন্যের প্রশ্নকে ভোঁতা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। সেই চেষ্টা  কতটা সংগত তা নিয়া  প্রশ্ন তোলা গেলেও  তাকে আমি অপরাধ বলে ভাবি না। কিন্তু ধর্ষণের মতো  এরকম একটা জঘন্য  অপরাধ  নিয়ে যখন এ ধরনের  বিতর্ক তৈরি হয় তখন সত্যিই লজ্জা

আধুনিক রাজতন্ত্র

গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ। বিচার বিভাগ, আইনবিভাগ, শাসন বিভাগ এবং সংবাদমাধ্যম। এরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষিত হয়। বর্তমান ভারতে এই চারটি স্তম্ভই এখন একটি রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। কোন বিভাগই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত দুটি মামলার রায়, হাতরাসে মনীষা বাল্মীকির ধর্ষণ কাণ্ড এবং পুলিশের ভূমিকা, দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং সিএবি কিংবা এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের সময় প্রশাসনের ভূমিকা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আসলে আমরা এক আধুনিক রাজতন্ত্রের নাগরিক হিসাবে সময় কাটাচ্ছি। এখানে শাসকের ধর্মই শাসিতের ধর্ম বলে বিবেচিত হচ্ছে, সংখ্যালঘু দলিত শ্রেণী দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে  জীবন কাটানোর আশঙ্কায় ভুগছে।শাসকের কথাই আইন বলে বিবেচিত হচ্ছে। এবং তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই দেশদ্রোহী হিসাবে আখ্যায়িত হচ্ছেন। ঠিক যেমন প্রাচীন ও মধ্যযুগে রাজা বা সামন্তপ্রভুরা দেশ শাসনের জন্য করতেন। প্রতিনিয়ত তা-ই ঘটছে। তবে পার্থক্য শুধু একটাই, যে তা করা হচ্ছে গণতন্ত্র নামে এক আধুনিক আলখাল্লার মোড়কে। এখন প্রশ্ন হলো,