সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা কবজ কী এবং কেন?

 সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা কবজ কী এবং কেন? আধুনিক শিক্ষাই একমাত্র সংখ্যালঘুর শক্তি-স্বল্পতার বিকল্প উৎস হতে পারে। জুন মাস (২০১৯) হংকং এ একটি সংখ্যালঘু শ্রেণির বিক্ষোভ যারা সংখ্যালঘু বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা বিদ্বেষ ছড়ানোয় সংখ্যালঘুদের কোন লাভ নেই। কারণ, যারা সংখ্যায় লঘু হয়, তাদের দেওয়া পাল্টা বিদ্বেষ ভাষণ, যৌক্তিক কারণেই কোন কাজে আসে না। উল্টে ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, এতে সংখ্যাগুরুর বিদ্বেষ ভাষণকারি অংশের হাতে যেটা এতদিন ছিল অজুহাত, তা ন্যায্যতা পেতে শুরু করে। অর্থাৎ সংখ্যালঘুর বিদ্বেষ ভাষণকে সামনে এনে তারা তাদের অজুহাতকে ন্যায্যতা দেয়ার সুযোগ পেয়ে যায়।  তাছাড়া, লড়াই যখন অসম সংখ্যার মধ্যে হয়, তখন পেশী শক্তি বা বিদ্বেষ ভাষণ কখনই ইতিবাচক ফলাফল এনে দিতে পারে না। এক্ষেত্রে শিক্ষাই হল একমাত্র হাতিয়ার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেমন শ্রমিকের শ্রমশক্তির (স্বল্পতার) বিকল্প হয়, তেমনভাবেই আধুনিক শিক্ষাই একমাত্র সংখ্যালঘুর শক্তি-স্বল্পতার বিকল্প উৎস হতে পারে। বস্তুত, সংখ্যালঘুদের মনে রাখতে হবে, বিদ্বেষ ভাষণকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব রয়েছে...

ধর্মের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা ও তা দূর করার উপায়?

ধর্মের দুর্বলতা কী? ধর্মের দুর্বলতা দূর করার উপায় কি আছে? মনুষ্য সমাজকে সবচেয়ে বেশি বিভাজিত করেছে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। অথচ, প্রতিটি ধর্মের উৎপত্তি হয়েছিল মানব কল্যাণকে নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু যখনই তা সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তখনই তার দখল নিয়েছে ক্ষমতালিপ্সু একদল মানুষ। জন্ম দিয়েছে ধর্মের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। নানা রকম বিধি বিধান তৈরি করে, সহজ ও সরল বিশ্বাসকে কৌশলে জটিল ও কুটিল করে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য, মানুষকে একটি ‘সবজান্তা প্রতিষ্ঠানে’র মুখাপেক্ষী করে তোলা। ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার বাসনায় ধর্মকে এভাবেই তারা হাতিয়ার করেছে। ধর্মের নামে মানুষকে বিভাজিত করার এই অভিনব কৌশলটাই হল সেই হাতিয়ার। ফলে মানুষ দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছেন নানা রঙের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের ছত্র-ছায়ায়। ধর্মের দুর্বলতা এখানেই যে সে ক্ষমতালিপ্সু এই সব মানুষদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। তাই কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম নয়, মানুষের প্রকৃত ধর্ম হওয়া উচিত মানব ধর্ম। ধর্ম যদি মানতেই হয় মানবধর্মকেই মানা উচিৎ, মানুষের কল্যাণই যেখানে এক এবং একমাত্র লক্ষ্য। উদ্দেশ্যও বটে। ধর্ম কী কেবলই বিশ্বাস? আসলে ধর্ম...

হিন্দু কারা? তারা কীভাবে হিন্দু হল?

হিন্দু কারা? কীভাবে তারা হিন্দু হল? যদি কেউ প্রশ্ন করেন, অমিত শাহ হিন্দু হলেন কবে থেকে? অবাক হবেন তাই তো? কিন্তু আমি হবো না। কারণ, তাঁর পদবী বলে দিচ্ছে উনি এদেশীয়ই নন, ইরানি বংশোদ্ভুত। কারণ, ইতিহাস বলছে পারস্যের রাজারা ‘শাহ’ উপাধি গ্রহণ করতেন। এবং ‘শাহ’ শব্দটি পার্শি বা ফার্সি। লালকৃষ্ণ আদবানির নামও শুনেছেন আপনি। মজার কথা হল আদবানি শব্দটিও এদেশীয় নয়। আরবি শব্দ ‘আদবান’ থেকে উদ্ভূত। সুতরাং তাঁর পদবীও বলছে, তিনিও এদেশীয় নন। ভাষাতত্ত্ব ও নৃতত্ত্বের বিশ্লেষণ বলছে, উচ্চবর্ণের বিশেষ করে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের মানুষদের, উৎসভূমি হল পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল। তারও আগে ছিল ইউরোপের ককেশাস অঞ্চলে। আসলে এরা (উচ্চবর্ণের মানুষ) কেউই এদেশীয় নয়। তারা নিজেদের আর্য বলে পরিচয় দিতেন এবং এই পরিচয়ে তারা গর্ববোধ করতেন। সিন্ধু সভ্যতা পরবর্তীকালে তারা পারস্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিন্দুকুশ পর্বতের গিরিপথ ধরে এদেশে অভিবাসিত হয়েছেন। আর মধ্যযুগে এসে এদেরই উত্তরসূরী ইরানিরা (অমিত শাহের পূর্বপুরুষ) অর্থাৎ পারস্যের কিছু পর্যটক-ঐতিহাসিক, এদেশের আদিম অধিবাসীদের ’হিন্দু’ বলে অভিহিত করেছেন তাদের বিভিন্ন ভ্রমণ বৃত্তান্তে। ...