সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সংখ্যালঘুর মুখই গণতন্ত্রের আয়না

  সংখ্যালঘুর মুখই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী আয়না। The face of the minority is the mirror of democracy কোন দেশ কতটা গণতান্ত্রিক, তা বোঝা যায় সে দেশের সংখ্যালঘু মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা কতটা মজবুত, তা থেকে। কারণ, সংখ্যালঘুর মুখই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী আয়না। সংখ্যালঘুরা সঙ্গত কারণেই সংখ্যাগরিষ্ঠদের চেয়ে বেশি বঞ্চনাজনিত মনস্তাত্ত্বিক চাপে থাকে। এই চাপ দু’ভাবে তৈরি হয়। ১) সংখ্যাগিষ্ঠতাজনিত সুবিধা যা সংখ্যাগুরুরা পায়, সংখ্যালঘুরা কখনই তা পায় না বা পাবে না - এই ধারণা, যার কিছুটা হলেও ভিত্তি রয়েছে ২) সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে বৃহত্তম (?) জনগোষ্ঠীর অংশ হওয়ার সুবাদে যে কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা তৈরি হয় এবং যা বহুজনের মধ্যে দৃষ্টিকটুভাবে প্রকাশ হয়ে পড়ে, তার ভয়ে। এই চাপ কতটা গভীর তা সংখ্যালঘু ছাড়া বোঝা খুব মুশকিল। তবে আলোকপ্রাপ্ত মানুষ মাত্রই যে তা উপলব্ধি করতে পারেন, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই ধরণের চাপ তৈরি করে কিছু অসাধু মানুষ যখন সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পত্তির সামনে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তখন তা কমানোর ক্ষমতা একমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রশক্তির হাতেই থাকে

বিজেপির শিক্ষানীতি : বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

বিজেপির শিক্ষা ও রাষ্ট্রনীতি এবং তার পরিণতি দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে, বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। সম্প্রতি শিবপুর আই আই ই এস টি -তে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে, তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে বলে অনেকের অভিমত এক সময়ের আরবীয় (ইসলামিক) সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রভাবে উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকার (ভূমধযসাগরীয় এলাকা) মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানের শিখর ছুঁয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে অর্থাৎ জনসমর্থনকে সহজে কব্জা করতে শাসক শ্রেণি রাজনীতির সঙ্গে ধর্মান্ধতাকে জুড়ে অন্ধ ভক্ত বানাতে শুরু করে। ফলে বিজ্ঞানচিন্তাকে পিছনে ফেলে ধর্মীয় অন্ধতা রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় প্রচন্ড গতিতে বাড়তে থাকে। আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তির চর্চা ও তার উন্নয়নের জন্য

বাংলার লোকসংস্কৃতি, মাতৃতান্ত্রিকতা থেকে পুরুষতান্ত্রিকতা

বাংলার লোকসংস্কৃতির বিবর্তন : মাতৃতান্ত্রিকতা থেকে পুরুষতান্ত্রিকতা Evolution of folk culture of Bengal পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের প্রাথমিক লগ্নে মানুষ ছিল খাদ্য সংগ্রাহক। খাদ্য উৎপাদনের কৌশল সে জানতো না। তাই একজন মানুষের সঙ্গে একটা পশুর জীবনধারণের তেমন কোন মৌলিক পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যেত না। এই সময় পশুর ধর্ম ছিল পশুত্ব আর তার সংস্কৃতির নাম ছিল ‘খাদ্য সংগ্রাহক’। কোন পশুই তার ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে পরিবর্তন বা বিবর্তন ঘটাতে পারেনি। কিন্তু মানুষ পেরেছে। সংস্কৃতির আধুনিক সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাই পশুর সেই অর্থে কোন সংস্কৃতি নেই, কিন্তু মানুষের,আগে না থাকলেও, এখন আছে। সংস্কৃতি কী? সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হয়। চিন্তা চেতনায় আসে আমূল পরিবর্তন। ক্রমশ জন্ম নেয় তার একটি যুক্তিবাদী মন। সেই মন তাকে ভাবতে বাধ্য করে, তার অস্তিত্বের সংকট ও সম্ভাবনা সম্পর্কে। ভাবতে বাধ্য করে, বেঁচে থাকাকে আরো নিরাপদ ও সুন্দর করে গড়ে তোলার উপায় কী? এই উপায় খুঁজতে গিয়েই মানুষ জন্ম দিয়েছে তার সংস্কৃতির। সংস্কৃতির জন্ম কীভাবে? জগৎ ও জীবনকে আরও নিরাপদ ও সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য প্রথমেই স