সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কোরান পাঠের ফলাফল

 এখন কোরআন পড়ছি। যত পড়ছি, গভীরে ঢুকছি, তত মনে হচ্ছে চারপাশে মুসলমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেন বলুন তো এমন মনে হচ্ছে? কারণ, কো রা নি (কোরআন অনুসরণকারী) মুসলমানের চেয়ে দেশে হাদিসি (হাদিস অনুসরণকারী) মুসলমানের সংখ্যা ভয়ঙ্কর রকম বেশি।  তাতে সমস্যা কোথায়? উল্লেখ্য, হাদিস সংকলিত হয়েছে নবীজির মৃত্যুর ৩০০ বছর পর। মজার ব্যাপার হলো, এই হাদিসগুলোর সত্যতা সম্পর্কে নানা জনের নানা মত রয়েছে। শিয়ারা যে হাদিস মানে তার অনেক হাদিস সুন্নীরা মানেন না। আবার উল্টো ধারাও একই রকম সক্রিয়। জাল হাদিসও নাকি রয়েছে অসংখ্য। এত বির্তক ও জটিলতা সত্বেও আমরা হাদিসটাকেই বেশি মাত্রায় অনুসরণ করে থাকি ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে নবীজির জীবদ্দশাতেই এবং তখন থেকেই সংরক্ষিত হয়ে আসছে। এই সংরক্ষণ হয়েছে মানুষের মুখে মুখে,পশুর চামড়ায় লিখে রেখে অথবা পাথরে খোদাই করে। পরবর্তীতে সেটাই মুদ্রিত আকারে প্রকাশিত হয়েছে তেমন কোন বিতর্ক ছাড়াই। কিন্তু আমরা ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে কোরআনের চেয়ে হাদিসের কথাই অনুসরণ করি বেশি। আমরা কোরআন মুখস্ত করি, ছওয়াবের (পুণ্যের) আশায়। কিন্তু বুঝে পড়ি না। পড়ি কি?  হাদিসে

মানুষ কাকে বেশি ভয় পায়?

এখন কোরআন পড়ছি। যত পড়ছি, গভীরে ঢুকছি, তত মনে হচ্ছে চারপাশে মুসলমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেন বলুন তো এমন মনে হচ্ছে? কারণ, কো রা নি (কোরআন অনুসরণকারী) মুসলমানের চেয়ে দেশে হাদিসি (হাদিস অনুসরণকারী) মুসলমানের সংখ্যা ভয়ঙ্কর রকম বেশি।  তাতে সমস্যা কোথায়? উল্লেখ্য, হাদিস সংকলিত হয়েছে নবীজির মৃত্যুর ৩০০ বছর পর। মজার ব্যাপার হলো, এই হাদিসগুলোর সত্যতা সম্পর্কে নানা জনের নানা মত রয়েছে। শিয়ারা যে হাদিস মানে তার অনেক হাদিস সুন্নীরা মানেন না। আবার উল্টো ধারাও একই রকম সক্রিয়। জাল হাদিসও নাকি রয়েছে অসংখ্য। এত বির্তক ও জটিলতা সত্বেও আমরা হাদিসটাকেই বেশি মাত্রায় অনুসরণ করে থাকি ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে নবীজির জীবদ্দশাতেই এবং তখন থেকেই সংরক্ষিত হয়ে আসছে। এই সংরক্ষণ হয়েছে মানুষের মুখে মুখে,পশুর চামড়ায় লিখে রেখে অথবা পাথরে খোদাই করে। পরবর্তীতে সেটাই মুদ্রিত আকারে প্রকাশিত হয়েছে তেমন কোন বিতর্ক ছাড়াই। কিন্তু আমরা ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে কোরআনের চেয়ে হাদিসের কথাই অনুসরণ করি বেশি। আমরা কোরআন মুখস্ত করি, ছওয়াবের (পুণ্যের) আশায়। কিন্তু বুঝে পড়ি না। পড়ি কি?  হাদিসের

আধুনিক মিডিয়া : কর্পোরেট পুঁজির (পুঁজিপতিদের) তোতাপাখি

গোদি মিডিয়া : কর্পোরেট পুঁজির তোতাপাখি পশ্চিমী মিডিয়াকে 'ইসরাইল সরকারের তোতাপাখি' নামে পরিচয় দেওয়া হয় সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মিডিয়া হাউজের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি একইভাবে ভারতীয় কর্পোরেট মিডিয়া ভারত সরকার তথা 'কর্পোরেট পুঁজির  তোতাপাখি' হিসাবে পরিচয় পাচ্ছে, যাকে নিন্দুকেরা 'গোদী মিডিয়া' নামে অভিহিত করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনা সম্পর্কে ইসরাইল যা বলে, ইউরোপ ও আমেরিকার মিডিয়া, তোতা পাখির মতো তা-ই প্রচার করে। সাংবাদিকতার প্রধান প্রধান শর্তগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইসরাইলের দেওয়া তথ্যই তারা প্রচার করে অন্ধ ও নির্লজ্জভাবে। ভারতের ক্ষেত্রেও করপোরেট মিডিয়া বর্তমানে সেটাই করছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, নত মস্তকে ভারত সরকারের দেওয়া তথ্য বিনা বিচারে প্রচার করে চলেছে অধিকাংশ মিডিয়া হাউজ।  অর্থাৎ তাদের সম্প্রচারিত খবরের বড় অংশই হয় নিয়ন্ত্রিত অথবা কখনও কখনও অসত্য - এমন দাবিও করা হয়।  আসলে সিংহভাগ মিডিয়ার মালিক হচ্ছেন এক-একজন  করপোরেট পুঁজির মালিক বা পুঁজিপতি। এরা কি কখনও নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় - এমন খবর, তথ্য বা তত্ত্ব প্রচার করবে? করবে না, করেও না। আর এ

খিল্লি করা বামপন্থী সংস্কৃতি নয়

বামপন্থা খিল্লি শেখায় না, শেখায় গঠনমূলক সমালোচনা। সমালোচনা সৃষ্টিশীল আর খিল্লি ধ্বংসাত্মক ও বিকারগ্রস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে। জন্ম দেয় অপসংস্কৃতির, যা বামপন্থার পক্ষে অস্বাস্থ্যকর। যে প্রক্রিয়ায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে একাদেমির পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, তা হয় তো সমালোচনার উর্ধে নয়। ‘হয় তো’ বলছি এই কারণে যে, তাঁর এই গ্রন্থটি আমি পড়িনি। অথবা কেউ পড়ে তার কোন রিভিউ লিখেছেন বলে আমি শুনিনি। পুরস্কার পাওয়ার জন্য মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের রিভিউ গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমি জানি না তা হয়েছে কিনা। অন্যদিকে, কারও সমালোচনা করতে হলে তাঁর সম্পর্কে গভীরভাবে জানা প্রয়োজন, তাঁর লেখার সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় থাকাও দরকার, যা এক্ষেত্রে আমার নেই। তার লেখা একটিমাত্র বই পড়ার সুযোগ এ পর্যন্ত আমার হয়েছে। ‘বিপন্ন ভারত’ নামে যে বইটি তিনি লিখেছেন, তা পড়ে আমি সত্যিই মুগ্ধ না হয়ে পারিনি। কিন্তু তার কবিসত্তা নিয়ে কোন লেখা এখনো আমার নজরে আসেনি। তাই সে বিষয়ে কথা বলার এক্তিয়ার আমার নেই বলেই আমি মনে করি। রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আদর্শগত পার্থক্য আছে যাদের (আমিও তাদের একজন), তারা রাজনৈতিক ইস্যুতে