সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রসঙ্গ : বাবরি মসজিদ ও রামজন্ম ভূমির প্রকৃত উৎসমুখ - পর্ব - ৩

প্রসঙ্গ : বাবরি মসজিদ ও রামজন্ম ভূমির প্রকৃত উৎসমুখ - পর্ব - ৩ উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক দুর্নীতির অঙ্গ হিসেবে এই ইতিহাস বিরোধী কাজ শুরু হয়। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য ও আধুনিক যুগের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর সুশীল শ্রীবাস্তবের পূর্ণাঙ্গ গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, যে কিভাবে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ চাতুর্যের সঙ্গে বাবরি মসজিদ ও রাম জন্মভূমি বিতর্ককে তৈরি করে তাদের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থকে চরিতার্থ করার কাজে লাগিয়েছিলেন। এই কাজে লখনৌ শহরের তৎকালীন ব্রিটিশ রেসিডেন্ট কর্নেল স্লিম্যান  (১৮৪৮-৫৪) এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার আমলেই বাবরি মসজিদ সংলগ্ন রসুইঘর-এর ( সীতার রান্নাঘর) জায়গায়  রীতিমতো পুজো শুরু হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৮৫৫) সালে হিন্দু সম্প্রদায় সমগ্র মসজিদ এলাকাটি দাবি করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লর্ড ডালহৌসি কুশাসনের অজুহাতে অযোধ্যা অধিগ্রহণ করে নেয়। ১৮৫৬ সালের অন্যায় ভাবে অযোধ্যা দখল করে নেয়ার পরের বছর অর্থাৎ ১৮৫৭ সালে দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় মহাবিদ্রোহ। ব্রিটিশের গদি ভয়ংকরভাবে জ্বলে ওঠে। এর পরপরই শুরু হয়ে যায় ভয়ঙ্ক

প্রসঙ্গ : বাবরি মসজিদ ও রামজন্ম ভূমির প্রকৃত উৎসমুখ : পর্ব - ২

প্রসঙ্গ : বাবরি মসজিদ ও রামজন্ম ভূমির প্রকৃত উৎসমুখ : পর্ব - ২ এই বিতরকের মূল ভিত্তি তৈরি করেন ইংরেজ ঐতিহাসিক লিডেন। ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাবরের ফারসি ভাষায় লেখা আত্মজীবনী অনুবাদ করেন। নাম দেন ' মেমোয়ার্স অফ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, এম্পারার অফ হিন্দুস্থান'।  এই গ্রন্থে তিনি লেখেন, ' মনে হয় বাবর পাঠানদের বিরুদ্ধে অভিযান করার সময় অযোধ্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন'। মনে রাখতে হবে, এই মন্তব্যটি সম্পাদক এবং অনুবাদকের অনুমান এবং ধারণা মাত্র । কারণ, এর স্বপক্ষে তিনি কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থিত করেননি, এমনকি স্বয়ং বাবরের মূল লেখার মধ্যেও এ কথার উল্লেখ নেই। এখানে আর একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, বাবর এর মূল গ্রন্থটি তার মাতৃভাষা চাঘাতাই তুর্কি ভাষায় লেখা। অনুবাদেের সময় জন লিডেন এই মূল গ্রন্থের অনুসরণ করেননি। তিনি অনুসরণ করেছিলেন আকবরের উদ্যোগে আব্দুর রহিম মির্জা কর্তৃক ফারসি ভাষায় অনূদিত ' বাবরনামা '। এই দুটি মূল গ্রন্থের কোথাও বাবরের অযোধ্যায়় উপস্থিতি এবং মীর বাকি কর্তৃক বাবরি মসজিদ স্থাপনের  কোন উল্লেখ নেই।  মজার ব্যাপার হলো, জন লিডেন-এর এই অনুমান ভিত্তিক ত

প্রসঙ্গ : বাবরি মসজিদ ও রামজন্ম ভূমির প্রকৃত উৎসমুখ : পর্ব - ১

প্রসঙ্গ : বাবরি মসজিদ ও রামজন্ম ভূমির প্রকৃত উৎসমুখ : - পর্ব - ১ আগামী ২২ জানুয়ারি ২০২৪, অযোধ্যায় মন্দিরের উদ্বোধন। মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশেষ রাজৈতিক দলের সমর্থকরা উল্ল্যশিত হবেন, আবার কেউ মনোকষ্টে ভুগবেন। কিন্তু মন্দির না মসজিদ। এ নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। কারণ এ দুটোর কোনটারই ক্ষমতা নেই মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর। উল্টে, এই দুটো জিনিস মানুষের আত্মশক্তির প্রতি অবিশ্বাস তৈরি করে দেয়। ফলে মানুষের স্বাবলম্বী হবার পথে অন্তরায় তৈরি হয়। তবে ধর্মদর্শন-এর গুরুত্বের কথা অস্বীকার করা যায় না।  কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এই ধর্মদর্শনগুলি আবির্ভাবের পরপরই রাজনৈতিক ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের অনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে ধর্ম অধর্মের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সাম্প্রতিকতম দৃষ্টান্ত হলো বাবরি মসজিদ ও রাম জন্মভূমি বিতর্ক এবং তার পরিণতি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির তৈরি করার অনুমতি পাওয়ার পরও বিতর্ক থামছে না। এই না থামাটাও রাজনীতির কারবারিদের কারসাজির জন্যেই ঘটে চলেছে। কেউ বলছেন, অন্যায় হয়েছে। আবার কেউ বলছে