সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইসরাইলি আগ্রাসন ও আমেরিকার দ্বিচারিতা

ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র যে আমেরিকা, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তা লাগামহীন হয়ে উঠেছে। মূলত, গায়ের জোরে পেরে ওঠেনা বলে অধিকাংশ দেশ মুখ বন্ধ করে থাকে। ব্যতিক্রম শুধু মধ্যপ্রাচ্যের গুটিকতক (ইরান, তুরস্ক ইত্যাদি) দেশ। চিনের উইঘুরদের নিয়ে আমেরিকার মায়া কান্নার শেষ নেই। অথচ, প্যালেস্টাইনিদের বেলায় চোখ বন্ধ করে থাকে সে। উল্টে ইসরাইলকে নির্লজ্জভাবে অস্ত্র যোগান দিয়ে আসছে এবং এখনও দিচ্ছে। এই অস্ত্র প্যালেস্টাইনি নিরীহ নারী-শিশুদের নির্বিচারে হত্যার কাজে ব্যবহার করছে ইসরাইল। উদ্দেশ্য একটাই, জোর করে ফিলিস্তিনিদের নতুন নতুন এলাকা জবর দখল করা এবং ইতিমধ্যেই অধিকৃত অঞ্চলে জবরদখল কায়েম রাখা। এই সব কর্মকাণ্ড দেখেও না দেখার ভান করে আসছে আমেরিকা। অথচ, এরাই মানবাধিকারের কথা বলে, জাতির আত্মনিয়ন্ত্রের কথা বলে। এরাই গণতন্ত্রের কথা বলে চিনের বিরোধিতা করে। আবার এরাই মধ্যপ্রাচ্যের রাজতান্ত্রিক স্বৈরশাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। নির্লজ্জ দ্বিচারিতা এর চাইতে বেশি কী হতে পারে? প্রশ্ন হল, আমেরিকার এই দ্বিচারিতা কেন? তার কারণ মূলত দুটো।

হানাহানির উৎস

কাড়াকাড়িই জন্ম দেয় হানাহানির। কেননা, কাড়াকাড়িই হল বঞ্চনার কারণ। তাই বঞ্চনার অবসান না করতে পারলে, হানাহানি বন্ধ হবে না। পৃথিবীর কোনও পুঁজিবাদী সরকারই বঞ্চনার এই উৎস সমূলে উৎপাটন করতে চায় না। তাই পৃথিবীও হানাহানি মুক্ত হয় না। যেটা করা হয়, সেটা হল কৌশলে বঞ্চনাকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা। বঞ্চনাকে জিইয়ে রাখতে না পারলে সম্পদের পুঞ্জিভবন সম্ভব নয়। আপনি যদি ইতিহাসে পাতায় ভর করে কল্পনার দাঁড় বেয়ে পৃথিবীর আদিমতম সময়ে চলে যান, সেখানে দেখবেন মানুষও অন্যান্য প্রাণীর মতোই এক সাধারণ জীব। চিন্তাশক্তির বিশেষ ক্ষমতা ছাড়া, অন্য সব বিষয়ে সে অন্যান্য জীবের মতই একজন খাদ্য সংগ্রহকারী। প্রকৃতির সম্পদ আহরণ ও শিকারই তার বা তাদের জীবনযাপনের মূল মন্ত্র। কোন অলৌকিক শক্তি তাদের কারও নামে কোনো সম্পদের অধিকার বা স্বত্ত্ব দিয়ে পাঠায় নি। অন্যান্য প্রাণীদের মতই ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর সঙ্গে জীবনযুদ্ধ করে তাকে টিকে থাকতে হয়েছে। মানব সভ্যতার ইতিহাস বা কোন ধর্মগ্রন্থ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে কোনো বিশেষ মানুষ বা মানব সম্প্রদায়কে সম্পদের মালিকানা স্বত্ত্ব দেওয়ার কথা সেখানে পাওয়া যাবে না। সুতরাং পৃথিবীর এই প্রাকৃতিক সম্পদের বিশেষ মালিক